বাংলাদেশে ৯৫% ভাগ মুসলিম বাস করে। ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করা প্রতিটি মুসলমানের দ্বায়িত্ব। অত্র এলাকায় ইসলামী শিক্ষার কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় করমজি ও পাশ্ববর্তী এলাকায় ইসলামি শিক্ষা গ্রহন, প্রচার ও প্রসারের জন্য করমজি একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(মাদ্রাসা) করা হয়।
মরহুম আব্দুল মজিদ, মরহুম আলহাজ মতিউর রহমান প্রমুখ এদের সহযোগীতায় ও এলাকা বাসীর প্রয়োজনে ০১/০১/১৯৪৮ সালে এবতেদায়ী হিসেবে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর ০১/০৭/১৯৭৬ সালে দাখিল, ০১/0৭/১৯৭৬ সালে আলিম ও ০১/০১/১৯৮৬ সালে ফাজিল পর্যায়ে উন্নীত হইয়া সুচারুরুপে পরিচালিত হইয়া আসিতেছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে সমৃদ্ধ পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ও সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত শেখ রাসেল আইটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ক্লাশরুমের পড়া ক্লাশরুমেই সম্পন্ন করার মাধ্যমে গৃহ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়, শিক্ষা বঞ্চিত, দরিদ্র পীড়িত স্বল্ব আয়ের মানুষের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকায় অন্যতম একটি শিক্ষা নিকেতন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।
০১/০১/১৯৪৮ ইং সালে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়ে আজ অবধি সুনামের সহিত পরিচালিত হচ্ছে।
আলহামদুল্লিলাহ, পরম করুনাময় মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে করমজি মজিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সাঃ) এর আদর্শে জীবন গড়া, ধর্মীয় শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষায় জাতি গঠনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। অত্র এলাকার ধর্মপ্রাণ, বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের শ্রম, সাধনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মতিউর রহমান, দাতা ও শুভাকাঙ্খীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সর্বদিক দিয়ে এমন একটি আদর্শ ইসলামী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতির প্রায়াসে একদল সুশিক্ষিত, দক্ষ ও কর্মঠ এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক মন্ডলীর অদম্য প্রচেষ্টায় দীপ্তমান। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় চেতনা ও সংস্কৃতি লালন করে বিজ্ঞান মনস্ক, সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুনাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিরলস ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।